শ্রীমঙ্গলে চোরাচালান চক্রের হাত থেকে উদ্ধার ১ লাখ ৭৭ হাজার বিদেশি সিগারেট

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে চোরাচালান চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৭৭ হাজার শলাকা বিদেশি সিগারেট ও একটি পিকআপ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি হলেন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল হাই ও জামাল মিয়া। তারা একটি কালো পিকআপ গাড়িতে করে বিদেশি সিগারেট পরিবহন করছিল। পুলিশের সংকেত পেয়ে গাড়ি থামানোর পর তারা পালানোর চেষ্টা করলে ধরা পড়েন।

জব্দকৃত সিগারেটের মধ্যে ১৭ কার্টুন ও একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ৫০ বান্ডিল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। এসব সিগারেটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১১ লাখ ৩ হাজার টাকা। এছাড়া ঢাকা মেট্রো-ন-১৮-৩৭৩৬ নম্বরের পিকআপ গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্রের সাথে যুক্ত। তারা ভারতীয় সীমান্ত থেকে এসব সিগারেট বাংলাদেশে নিয়ে আসছিল। গত কয়েক মাস ধরে তাদের কার্যক্রম নজরে আসে পুলিশের।

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দকৃত সিগারেটগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হবে। চোরাচালান চক্রের মূল হোতাদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় চোরাচালানের মাধ্যমে আসা বিদেশি সিগারেটের ব্যবসা বেড়েছে। এসব সিগারেটের ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সরকারের রাজস্ব ক্ষতির বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে শ্রীমঙ্গলে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিড়ি-সিগারেট ধ্বংস করা হয়েছে । এবারের অভিযানও সেই ধারাবাহিকতায় চালানো হয়েছে।

এ ঘটনায় চোরাচালান দমনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতারা। তারা বলছেন, চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।