প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১৯:৫৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ইরি-বোরো ধানের ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অথচ হিলির বিভিন্ন গুদামে ভারত থেকে আমদানিকৃত চালের হাজার হাজার বস্তা মজুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের দাম ছাড়া অন্য কোনো কারণ তারা দেখছেন না। তবে আমদানিকারকরা বলছেন, আগের তুলনায় বেশি দামে চাল কিনেছেন, এখন বাজারে দাম বেশি থাকায় তারা সেই চাল বিক্রি করছেন। এতে সাধারণ ভোক্তাদের কষ্ট বেড়েছে এবং ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত সম্পা কাটারি চাল যেটি আগে বিক্রি হতো ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, সেটি এখন ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি সম্পা কাটারির দাম বেড়ে হয়েছে ৬৮ টাকা, স্বর্ণা-৫ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজি, যেখানে আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। মিনিকেটের দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা প্রতি কেজি।
খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন শাহ ও অভি বসাক জানান, ঈদের আগেও চালের দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ঈদের পরপরই হঠাৎ করে সব ধরনের চালের দাম বাড়তে থাকে। মিল মালিক ও আমদানিকারকরা যে যার মতো দাম নির্ধারণ করছে বলে মনে করছেন তারা।
হিলির আমদানিকারক নবীবুল ইসলাম স্বীকার করেছেন চাল মজুত করে রাখার কথা। তিনি বলেন, কম দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে, তাই দাম বাড়ার অপেক্ষায় চাল রেখেছিলেন। অন্যদিকে আমদানিকারক শরিফুল ইসলাম বলেন, তার গুদামে শুধু লম্বা চাল আছে যেটি সহজে বিক্রি হয় না।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ বলেন, ৩০ দিনের বেশি চাল গুদামজাত করার নিয়ম নেই। যেহেতু অনেকে এই নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, তাই ট্রান্সপোর্ট গঠন করে গুদামে অভিযান চালানো হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে এবং অচিরেই চাল আমদানিকারকদের গুদাম ও খুচরা বাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মত দিচ্ছেন সচেতন মহল, যাতে বাজারে স্বাভাবিকতা ফিরে আসে এবং সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।