টেলিগ্রামে প্রেমের ফাঁদে মাদরাসা ছাত্রীকে যৌনপল্লিতে বিক্রি: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক কিশোরী মাদরাসা ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকার যৌনপল্লীতে বিক্রি করার ঘটনায় প্রধান আসামি শুভজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ ও র্যাব-৬। বুধবার (২৫ জুন) নোয়াখালীর র্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি শুভজিৎ মণ্ডল (১৯) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের শংকর মণ্ডলের ছেলে। তাকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর গ্রামের মৌতলা এলাকা থেকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী কিশোরী (১৭) নোয়াখালীর সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। ফেসবুক মেসেঞ্জারে তার সাথে পরিচয় হয় শুভজিতের। ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে টেলিগ্রামে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আসামি।

গত ৭ মে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে নোয়াখালী থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী নিয়ে যায় শুভজিৎ। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠার পর কিশোরীর গয়না ও টাকা কেড়ে নেয় সে। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে যৌনপল্লির এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়।

কিশোরী সেখান থেকে আরেক মেয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পরিবারকে জানাতে সক্ষম হয়। ১৫ জুন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় তার পরিবার তাকে যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকা থেকে উদ্ধার করে।

র্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মামলার আরেক আসামি পাচারকারী গ্যাং সদস্য সাব্বিরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

এ ঘটনায় মানব পাচার ও নারী নির্যাতন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।