প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ২১:২৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট স্রোতের তোড়ে ডুবে গেলেও চরম দুর্যোগের মধ্যে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন ২৮ জন যাত্রী। সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার বউবাজার এলাকার মেঘনার প্রবল স্রোতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হরনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাটগামী স্পিডবোটটি যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এবং মাঝপথে প্রবল স্রোতের কারণে বোটটির তলদেশে ফাটল দেখা দেয়।
ফাটলের ফলে মুহূর্তেই পানি ঢুকতে শুরু করলে স্পিডবোটটির চালক উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে বোটটিকে পাশের দিকে নিয়ে যান এবং যাত্রীদের দ্রুত নামিয়ে দেন। আতঙ্কিত যাত্রীরা সাঁতরে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিরাপদে তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হন। এ সময় এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেয়।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ চন্দ্র সাহা ঘটনাটি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, নলচিরা ঘাটের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভাগ্য ভালো ছিল যাত্রীদের, তা না হলে বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।
তিনি আরও জানান, স্পিডবোটটির তলদেশ দুর্বল ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। নদীতে হঠাৎ তীব্র স্রোতের তোড়ে গঠনগত দুর্বলতা সহ্য করতে না পেরে তলদেশ ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী জানান, তারা জীবনের জন্য লড়াই করেছেন এবং কেবল সাঁতারের দক্ষতাই তাদের প্রাণ বাঁচিয়েছে। অন্য এক যাত্রী বলেন, এমন ঘটনার পর এখন নদীপথে চলাচল নিয়ে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
দুর্ঘটনার পর নৌ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলছেন, এমন নৌযানের ফিটনেস ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হবে এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এমন বোট চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে যাতে করে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।