প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১১:৩৯
নোয়াখালীর চাটখিলে ভাড়া নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জেরে এক অটোচালক সাইফুল ইসলাম কিরণের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সাহাপুর ইউনিয়নের সোমপাড়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত কিরণ ওই এলাকার প্রসাদপুর দাই বাড়ির মৃত মো.হানিফের ছেলে। একই এলাকায় ব্যবসায়ী মো.মিজান হোসেনের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর কিরণ মিজানের ভাড়া না নিয়ে অন্য যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে উপজেলার অলিপুরে চলে যান। সেখানে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মৃত্যুর খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা মিজানের দোকানে হামলা চালিয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করেন, যা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় রোধ করা হয়। থানায় মরদেহ রেখে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশ মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করছে এবং ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারিতে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়।
স্থানীয়রা বলছেন, ভাড়া নিয়ে তর্ক একটি সাধারণ ঘটনা হলেও এ ধরণের মারাত্মক ঘটনা অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। তারা চাইছেন দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এছাড়া বিষয়টি নোয়াখালীর অটোচালক ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
মৃত্যুর পেছনের সত্যতা উন্মোচনে ময়না তদন্তের রিপোর্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ছাড়া পুরো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত বোঝা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার শান্তি-শৃঙ্খলা ও জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে এক নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। এলাকার মানুষ দ্রুত বিচার ও সামাজিক শান্তি প্রত্যাশা করছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। পুলিশ ও প্রশাসন নিয়মমাফিক দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।