প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১৭:৪৫
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি নছিমনের সাথে ধাক্কায় ইমান আলী (৪৮) নামে এক মোটরসাইকেল চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইমান আলী উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র মাধাইনগর গ্রামের মৃত জুব্বার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৫ জুন) সকালবেলায় তাড়াশ-সলঙ্গা জিসি সড়কের সোনাপাতিল নামক স্থানে, যেখানে একটি পুকুর থেকে মাছ এনে নছিমনে তোলা হচ্ছিল। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল যানটি।
ইমান আলী প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ মোটরসাইকেলে রওনা দেন। সোনাপাতিল এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নছিমনের পেছনে সজোরে ধাক্কা খান। সংঘর্ষের তীব্রতায় তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ইমান আলীর নিথর দেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে এবং সর্বত্র একধরনের বিষাদের আবহ তৈরি হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইমান আলী ছিলেন একজন সজ্জন ও পরিশ্রমী মানুষ। তিনি প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ে কাজে বের হতেন এবং এলাকায় তার বেশ সুনাম ছিল। তার এমন আকস্মিক মৃত্যু সবাইকে শোকাহত করেছে।
নছিমন চালকের গাফিলতি নিয়েই উঠেছে নানা প্রশ্ন। সড়কে দাঁড় করিয়ে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম চালানোর সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা না নেওয়াই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে অনেকে মনে করছেন।
এলাকাবাসী মনে করেন, গ্রামীণ সড়কে এই ধরনের অসাবধানতা খুব সাধারণ হলেও অনেক সময় তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। প্রশাসনের উচিত এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও ব্যবস্থার গ্রহণ করা।
ইমান আলীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। একই সঙ্গে তারা সড়কে যানবাহনের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং এ দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন !