টাকার লোভে অন্তঃসত্ত্বা বোনকে খুন, গ্রেপ্তার দুই নারী

ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন তার বড় ভাই হোসেনের কাছ থেকে পৈত্রিক জমি কিনে ধাপে ধাপে টাকা পরিশোধ করেছিলেন। স্ট্যাম্প ফেরত নেওয়ার জন্য ৫ মে ভাইয়ের বাসায় গেলে পরিকল্পিতভাবে তাকে আঘাত করা হয়। মাথা, চোখ ও মুখে ইট দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগে জানা যায়।

ঘটনার সময় প্রতিবেশীদের সহায়তায় হালিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ মে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, ফলে গর্ভের শিশুও মারা যায়।

হত্যার পেছনে মূল ভূমিকা রাখেন ভাই হোসেন, তার স্ত্রী মালা এবং আত্মীয় জাহানারা। টাকা আত্মসাতের জন্য তারা যৌথভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ উঠেছে।হালিমার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর র‍্যাব-১১ তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পলাতক দুই নারী আসামিকে শনাক্ত করে সাতক্ষীরা সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা তাদের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছে বলে র‍্যাব জানায়। এখন পর্যন্ত হোসেন পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।এই নির্মম হত্যাকাণ্ড সমাজে আবারও প্রমাণ করে, পারিবারিক সম্পত্তি ও টাকার লোভে কীভাবে রক্তের সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় দুই আসামি গ্রেপ্তার হলেও প্রধান অভিযুক্তের গ্রেপ্তার না হওয়ায় পরিবার ও এলাকাবাসী উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।

এই ঘটনায় সুবর্ণচরসহ সারা জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, এবং সাধারণ মানুষ ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করেছে এই অমানবিক ঘটনার প্রতি।