প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৫, ১১:৩৬
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হয়েছে টানা ১০ দিনের ছুটি, ফলে এই সময় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ছুটির মধ্যেও পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়ছে না বন্দরটি, কারণ অভ্যন্তরীণ পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম ও বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের যৌথ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে এই দীর্ঘ ছুটির পরিকল্পনা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ৫ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ জুন শনিবার পর্যন্ত মোট ১০ দিন স্থগিত থাকবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান আমদানি-রপ্তানির গতি এই সময়ে কিছুটা হ্রাস পাবে, তবে আগামী ১৫ জুন রবিবার থেকে আবারও পুরোদমে শুরু হবে কার্যক্রম।
এদিকে বন্দরে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে জরুরি চিকিৎসা, ব্যবসা বা পারিবারিক কারণে যেসব মানুষ যাতায়াত করেন, তারা যেন ভোগান্তিতে না পড়েন।
এ সময়ে বন্দর এলাকার কিছু কর্মজীবীর রোজগারে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। কারণ, পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ থাকায় কিছুদিন আয় কমে যাবে অনেকে শ্রমিকদের। তবে তারা বলছেন, ঈদ উদযাপনের এই সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটানোর সুযোগও পাচ্ছেন তারা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, দীর্ঘ ছুটির কারণে কিছু অর্ডার ও চালান প্রক্রিয়া সাময়িক বিলম্বিত হলেও ঈদের পরে তা স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসবে। তারা আশাবাদী, ঈদের আনন্দ শেষে আবারও সচল হবে হিলি বন্দর।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে, কারণ ঈদুল আজহা মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব এবং এই সময়ে ব্যবসায়ীরা যেমন ছুটি চান, তেমনি শ্রমিকরাও একটু স্বস্তি চান। ফলে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই এ ছুটির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সবশেষে, বন্দরের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা সবাই আশা করছেন, ঈদের ছুটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে কাটবে এবং ১৫ জুন থেকে পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে উঠবে হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম।