প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৫, ১৬:৫২
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকায় ঈদের আগে বাড়ি ফেরা এক তরুণ যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের রাধানগর এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা, যেখানে একটি যাত্রীবাহী বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারের ধাক্কায় চলন্ত বাস থেকে পড়ে যান সৌকত আহমেদ (২৩) নামে এক যাত্রী।
নিহত সৌকতের বাড়ি বগুড়া জেলার নন্দিগ্রাম থানার হাজার বেগুনী পাড়া গ্রামে। তিনি সোলেমান নামের এক ব্যক্তির ছেলে। স্ত্রীকে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা থেকে বগুড়াগামী এসকে পরিবহনের একটি বাসে রওনা দেন তিনি। পথে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকায় গাড়ি থামলে কোনো এক বিষয়ে সুপারভাইজারের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে সৌকতকে ধাক্কা দিলে তিনি চলন্ত বাস থেকে পড়ে যান এবং সঙ্গে সঙ্গেই বাসের পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনাটি মুহূর্তেই আশপাশের মানুষকে হতবাক করে তোলে।
দুর্ঘটনার পর বাসচালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে গেলেও হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশ বাসটি আটক করেছে। এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আব্দুর রউফ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে বাসটি থানায় রাখা হয়েছে এবং পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, বাস চলাকালে যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও সহিংসতা বন্ধে প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি দরকার।
সৌকতের মৃত্যু তার পরিবারের জন্য এক অসহনীয় শোক বয়ে এনেছে। ঈদের আগে এমন মর্মান্তিক ঘটনা এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সবাই জোরালোভাবে দ্রুত বিচার ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।