প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৫, ১১:২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদি ইউনিয়নের বাবলাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘটলো মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাহিন্দ্রা ও মিজান পরিবহণের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে এবং গুরুতর আহত হন আরও তিনজন।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। সংস্থাটির ইনচার্জ আবু জাফর জানান, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সক্রিয়ভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাহিন্দ্রাটি স্থানীয় যাত্রী নিয়ে চলছিল, বিপরীত দিক থেকে আসা মিজান পরিবহণের বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর দুটি গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার কর্মীদের।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের দ্রুত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে তারা স্থানীয় যাত্রী ছিলেন এবং সকালের দিকে গন্তব্যে রওনা দিয়েছিলেন।
দুর্ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত রয়েছেন। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকলেও পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কের এই অংশে নিয়মিতভাবে দ্রুতগতির যানবাহনের চলাচল ঘটে, কিন্তু পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে এলাকাবাসী দুর্ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে পাশে থাকবে। প্রাণহানির এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।