প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১৬:১৪
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা এবার পালিত হচ্ছে ভিন্ন আমেজে। কারণ, এই উৎসবের সঙ্গে মিলেছে কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের শতবর্ষ পূর্তির আয়োজন। ফলে উপকূলীয় এলাকার রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য এবারের উৎসব হয়ে উঠেছে আরও বিশেষ ও স্মরণীয়।
রবিবার সকাল থেকেই রাখাইন সম্প্রদায়ের শত শত নারী, পুরুষ ও শিশু নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে সমবেত হন কুয়াকাটার ঐতিহ্যবাহী শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি শতবর্ষ উদযাপনকে ঘিরে বিহার চত্বরে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
এদিন বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, সূত্র পাঠ ও শ্রবণ, এবং সমবেত প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। পরে পিণ্ডদান, বোধিবৃক্ষে জল ঢালা, আহার দানসহ নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালিত হয় অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে।
বিহার প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় আলোচনা সভা। এতে বিভিন্ন বয়সের রাখাইন সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনেকে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে জানান, শতবর্ষের এমন মাহেন্দ্রক্ষণে অংশ নিতে পেরে তারা গর্বিত।
শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বিহার চত্বরটি নতুন করে সাজানো হয়েছে। বিহারটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক হিসেবে স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
এর আগে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিগত দুইদিন ধরে বিহারে নানা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসব আয়োজনে শুধু স্থানীয়রাই নয়, দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে অংশ নিতে এসেছেন।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, আজকের এই দিনে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, জ্ঞান লাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণে গিয়েছিলেন। সেই পবিত্র দিনটিকে কেন্দ্র করেই পালন করা হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা। কুয়াকাটায় এবার এই দিনটি হয়ে উঠেছে ধর্মীয় গুরুত্ব ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব সম্মিলন।