বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন ছিলেন। সম্প্রতি দক্ষিণ বাইশারী গ্রামে সংঘটিত এক সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনায় তিন সদস্যের একটি ডাকাত চক্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বরগুনার শিয়ালিয়া এলাকার সেলিম (৫২), বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের বাদশা (৫০) এবং সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার গ্রামের ডালিম (৪৮)। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
সোমবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ ও বানারীপাড়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। থানার ওসি মো. মোস্তফা ও উপ-পরিদর্শক চন্দন কুমার রায়ের নেতৃত্বে এ অভিযান সফলভাবে পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছেন যে তারা গত ২১ এপ্রিল দক্ষিণ বাইশারী গ্রামের মিজানুর রহমান বাবুলের বাড়িতে ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিলেন। ওই রাতে ৭-৮ সশস্ত্র ডাকাত বাড়িটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায়, ডাকাতরা প্রথমে বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে এবং দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা বাবুলকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে মারধর করে। পরে পাশের কক্ষে থাকা তার পুত্রবধূ ও এক বছরের নাতনিকে আতঙ্কিত করে।
ডাকাতরা প্রায় দুই লাখ টাকা নগদ, ২০-২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং দুইটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাটি থানায় জানালে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, রিমান্ডে নিয়ে তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক সপ্তাহে বানারীপাড়ায় পাঁচটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এই গ্রেফতারের পর তারা কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন। তবে ডাকাত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে তদন্ত জোরদার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বাবুলের করা মামলায় ইতিমধ্যে আরেকজন আসামী শহিদুল ইসলাম মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ আশা করছে, শীঘ্রই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে।