প্রকাশ: ৬ মে ২০২৫, ১৫:৫৬
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি পরীক্ষার্থীর বিষয় পরিবর্তন করা হয়েছে তার অজান্তে। আসমিন সুলতানা অথৈ নামের ওই পরীক্ষার্থীকে হঠাৎ করে জানা যায় যে, তার বিষয় কৃষি বিজ্ঞানের পরিবর্তে গার্হস্থ্য অর্থনীতি হয়ে গেছে। অথৈ, যিনি নিজে জানতেন না তার বিষয় কেন পরিবর্তন হয়েছে, হঠাৎ করেই পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
অথৈ জানিয়েছেন যে, তিনি ২০২৩-’২৪ শিক্ষাবর্ষে মানবিক বিভাগে নিবন্ধন করেছিলেন, এবং তার পছন্দের বিষয় ছিল কৃষি শিক্ষা ও অর্থনীতি। তিনি নবম ও দশম শ্রেণীতে এই দুটি বিষয়েই নিয়মিত পাঠ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে পরীক্ষার হলে এসে জানেন যে তার বিষয় পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি অবাক এবং হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে তার পিতা, আব্দুল আলিম জানান, ৫ আগস্ট তার মেয়ে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বিদৌরা আক্তারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি, অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এই ঘটনাটি ওই আন্দোলনের পর থেকেই ঘটেছে এবং তার মেয়ের শিক্ষা জীবন নষ্ট করার জন্যই এই বিষয়টি ঘটানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদৌরা আক্তার অবশ্য অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "বিষয় পরিবর্তন নিয়ে আমাকে জানানো হয়নি।" তবে, তিনি এই বিষয়ে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
এদিকে, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেছেন, "আমি বিষয়টি জানি না, তবে আমি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।"
এ ঘটনাটি বর্তমানে একটি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় জনগণ ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা এবং ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করতে এ ধরনের ঘটনার তদন্ত অত্যন্ত জরুরি বলে অভিভাবকরা মনে করছেন।