জামালপুরের মাদারগঞ্জে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত জিয়াউল হককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি জিয়াউল হক মাদারগঞ্জ উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর দুপুরে দিঘলকান্দি এলাকায় চানাচুর দেওয়ার কথা বলে একটি দোকানে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে জিয়াউল। ঘটনাটি ঘটার পর শিশুটির এক আত্মীয় মামলা দায়ের করেন।
২০২২ সালের ১৪ আগস্ট মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ সময় শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা ও ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। মামলাটিতে মোট সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ ও তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে আসামির বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ প্রমাণিত দেখে কঠোর শাস্তির রায় দেন। আইনজীবীরা জানান, শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচারে আদালতের এই রায় ন্যায়বিচারের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে থাকবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, শিশুদের প্রতি এমন নৃশংস অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া উচিত ছিল। এ ধরনের অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হলে সমাজে এর কমবে বলে মনে করেন তারা।
জামালপুরের পুলিশ সুপার মামলাটির তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, শিশু ও নারী নির্যাতনের মামলায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।