রাসুল (সা.) কটুক্তিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা রবিউল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডা. হাফেজ মোঃ মমতাজুল করিম, ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল হোসেন বেলালী, কোষাধ্যক্ষ মাওলানা নাছির উদ্দীনসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেম ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও ধুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাসুল পাক (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেন। এতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং তাৎক্ষণিক মিছিল বের করে। ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

এই ঘটনায় ২৪ এপ্রিল ইমাম পরিষদের পক্ষ থেকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ২৮ এপ্রিল হরিণাকুন্ডু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে এমন ন্যক্কারজনক কাজ করতে পারে এবং এখনো কেন তাকে গ্রেফতার করা হলো না। তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় তাওহিদী জনতার মাঝে ক্ষোভ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা স্পষ্ট করেন, মুসলমানদের ঈমানের কেন্দ্রবিন্দু নবীজি (সা.) কে নিয়ে কোনো কটুক্তিকে সহ্য করা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডা. মমতাজুল করিম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আইন অনুযায়ী বিচার চাই। কিন্তু যদি মোজাম্মেল হক ও তার পেছনের চক্রকে দ্রুত গ্রেফতার না করা হয়, তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।”

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, মুজাম্মেল হককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি নেই এবং তাকে খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।