সৌদি যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ, শাকিলকে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

সন্ধ্যার পর শাকিলসহ কয়েকজন ইসলামীয়া মার্কেটের একটি দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় একটি সিএনজি অটোরিকশা করে পাঁচজন অস্ত্রধারী এসে লাবিব নামে এক যুবককে জোরপূর্বক তুলে নিতে চেষ্টা করে। বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে ও তার ছোট ভাই শুভকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।  

স্থানীয়রা দ্রুত দুই ভাইকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন। শুভ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তিনজন সন্ত্রাসীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।  

আটকরা হলেন মোরশেদ আলম, মো. জীবন ও মো. মনির। তাদের মধ্যে দু’জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে পুলিশ হেফাজতে।  

নিহত শাকিলের পরিবার জানিয়েছে, কিছু দিন আগেই সে সৌদি আরব যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। আগামী ২ মে তার ফ্লাইট ছিল। সাত মাস বয়সী কন্যাশিশু ও স্ত্রীকে রেখে সে বিদেশে পাড়ি দিয়ে পরিবারকে সচ্ছলতা দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল।  

এক তরুণকে বাঁচাতে গিয়ে শাকিলের প্রাণ হারানোয় পরিবার ও এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।  

বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবীবুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হলেও এখন পর্যন্ত কিছু মেলেনি।  

পুলিশ জানিয়েছে, লাশ দাফনের পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে। পুলিশ এ ঘটনার সব তথ্য গভীরভাবে অনুসন্ধান করছে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর।