বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) চৌমুহনী কার্যালয় রাজস্ব আদায়ে সাফল্যের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। গ্রাহক সেবা ও রাজস্ব আদায়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে এলাকায় বিদ্যুৎ সেবার মানোন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছর জুন-জুলাই মাসে চৌমুহনী কার্যালয়ের আওতায় ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসব আদালতে বকেয়া বিল না দেওয়া ও অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছর পর্যন্ত আরও পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। এতে ৪৬টি মামলা দায়ের করে প্রায় ৯২ লাখ টাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
রাজস্ব আদায়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছরের জুলাই মাসে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা, অক্টোবরে ৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং নভেম্বরে ১১ কোটি ৩৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এসব তথ্য থেকে স্পষ্ট, বিউবো চৌমুহনীর রাজস্ব আদায়ের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে এই সাফল্যকে কিছু মহল মেনে নিতে পারছেন না। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে খুঁটি স্থানান্তর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ এই কাজগুলো সড়ক বিভাগের নির্দেশনায় ও অর্থায়নে সম্পন্ন হচ্ছে।
বিউবো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩৩/১১/০.৪ কেভি লাইনের পোল স্থাপন বিউবোর নকশা ও পরিদর্শন বিভাগের অনুমোদিত ডিজাইন অনুযায়ী করা হয়েছে। এতে কোনো ধরনের অনিয়ম বা স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ নেই। পূর্বের এলাইমেন্ট ঠিক রেখেই সকল কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে।
চৌমুহনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহাদাত ইসলাম বলেন, "২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ হওয়ার আগেই আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি বন্যাকালীন সময়েও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।" তিনি আরও যোগ করেন, "কিছু ব্যক্তি ব্যক্তিগত স্বার্থে আমাদের কর্মকর্তা নাজমুন হাসান নিপুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অমূলক।"
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, "পূর্বনির্ধারিত নিয়ম মেনেই সকল কাজ করা হয়। এতে কারো ইচ্ছানুযায়ী কিছু পরিবর্তনের সুযোগ নেই।"
বিউবো চৌমুহনীর এই সাফল্য স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠানটির এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে এলাকাবাসী আরও উন্নত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবেন বলে আশা করা যায়।