প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৫২
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের একসরা গ্রামে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের এক মাস পর রবিবার বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার একটি হত্যা মামলার আসামি মো. সবুজ ওরফে রবিউল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করলে লাশের সন্ধান মেলে। আটক সবুজ প্রতাপনগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার এলাকার হবি গাজীর ছেলে এবং নিহত রেজাউলের স্ত্রীর বোনের জামাতা।
কোতোয়ালি থানার এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস জানান, নিহত রেজাউলের স্ত্রী মমতাজ বেগম গত ২২ মার্চ স্বামী নিখোঁজের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রাম থেকে সবুজকে আটক করা হয়।
আটকের পর সবুজ জানায়, রেজাউলকে হত্যা করে মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিবার বিকাল ৫টার দিকে আনুলিয়া ইউনিয়নের খোকন মোল্যার বাড়ির পাশে একটি ঘেরের বাঁধের মাটির তিন ফুট গভীরে খোঁজ চালিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় রেজাউলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার অভিযানে আশাশুনি থানার এসআই আলমগীর হোসেন, কোতোয়ালি থানার এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস এবং এএসআই তমাস মণ্ডলসহ একদল পুলিশ সদস্য অংশ নেন। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
নিহত রেজাউল ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুর এলাকায় দর্জি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পেশাগত কারণে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতেন বলে জানা গেছে।
লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।