খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি তিন জাতিগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব বৈসাবি শুরু হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজনে। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য এই উৎসব বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত দিনগুলোর একটি।
বুধবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
উদ্বোধনী দিনের শুরুতেই ছিল জমকালো শোভাযাত্রা। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরেরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে রঙিন সাজে অংশ নেন শোভাযাত্রায়।
জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ ছিল সকলের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়ার অন্যতম অংশ।
শোভাযাত্রায় ডিজিএফআই-এর ডেট কমান্ডার কর্ণেল আতিকুর রহমান, জেলা প্রশাসক ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টাউন হল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী ডিসপ্লে ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পোশাকের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় এসব ডিসপ্লেতে।
এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা বলেন, ‘এই উৎসব শুধু আনন্দের নয়, পাহাড়ে সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও শক্তিশালী করে।’
উৎসবের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মিলনমেলা এই উৎসব। পাহাড়ি-বাঙালি সবাই মিলে সম্প্রীতির এক নতুন বার্তা নিয়ে আসে বৈসাবি।’
উল্লেখ্য, বৈসাবি উৎসবের অংশ হিসেবে আগামী ১২ এপ্রিল ভোরে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর উৎসবও পালিত হবে।