সরবরাহ সংকটে দিনাজপুরের হিলি বাজারে হঠাৎ করে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা ও নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন, যারা প্রতিদিনের খরচ মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত তিনদিনে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। মঙ্গলবার যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা দরে, সেখানে বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকা কেজি।
বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা কসমেটিক্স দোকানের শ্রমিক রনি হোসেন বলেন, তিন দিনের ব্যবধানে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। তার মতে, প্রতিদিন গড়ে ৫ টাকা করে দাম বাড়ছে যা গরিব মানুষের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দিন শেষে ৩০০ টাকা মজুরিতে সংসার চালানো যায় না, তার ওপর নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
আরেক ক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, পুরো রমজানজুড়ে বাজার ছিল স্থিতিশীল। কিন্তু হঠাৎ করে চাল, তেল, পেঁয়াজ এবং রসুনের দাম বেড়ে গেছে। তার অভিযোগ, প্রশাসনের মনিটরিং না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহমেদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় দেশি পেঁয়াজেই সব চাপ পড়েছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। তার মতে, দ্রুত আমদানি চালু না হলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, সীমান্তপথে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এখন পুরো নির্ভরতা দেশি উৎপাদনের ওপর। উৎপাদন ও সরবরাহে সামান্য ব্যাঘাত ঘটলেই বাজারে দামের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ এখন জরুরি বলে মনে করছেন ভোক্তা ও বিক্রেতারা। বিশেষ করে পবিত্র ঈদের আগেই যদি আমদানি কার্যক্রম শুরু না হয়, তবে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে পড়বে বলে তাদের আশঙ্কা।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট বাজার নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যার ফলে জনমনে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।