ভাসানচরের মালিকানা নিয়ে উত্তাল হাতিয়া, সেতু উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সহকারি অধ্যাপক আনম নঈম শামীম খান, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফজলে আজিম তুহিন, সাবেক রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা আজরুল সাফদার, সাংবাদিক জিএম ইব্রাহিম, যুবদল নেতা মো. ফাহিম উদ্দিন, ছাত্রদলের আহবায়ক আরেফিন আলীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ সভার পর, স্থানীয় জনগণ হাতিয়া উপজেলা সদরের প্রধান সড়কে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। বিক্ষুব্ধ জনতা ভাসানচরের উপর অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে এবং সড়কটি দীর্ঘ সময় ধরে উত্তাল হয়ে থাকে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, ভাসানচর একটি মীমাংসিত বিষয়, যা বর্তমানে হাতিয়া উপজেলার আওতায় রয়েছে। কিন্তু সন্দ্বীপের কিছু শক্তি ভাসানচরকে তাদের অধীনে আনার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা আঞ্চলিক দাঙ্গার উসকানি দিতে পারে। তারা দাবি করেন যে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। স্থানীয়রা এই ধরনের হস্তক্ষেপ মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং ফাওজুল কবির খানের পদত্যাগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ১৯৫৪ সালে নোয়াখালী জেলা থেকে সন্দ্বীপ আলাদা হয়ে যায় এবং সাগরে জেগে উঠা নতুন চরগুলির কার্যক্রম পরিচালনা করতে নোয়াখালী জেলার আওতায় রাখা হয়। ভাসানচরসহ এই চরগুলি ৬টি মৌজার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং এসব চর হাতিয়া উপজেলার প্রশাসনিক এলাকার অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০০২-২০০৩ সালে বনবিভাগ ভাসানচরে বনায়ন সৃজন করেছিল এবং বর্তমানে ভাসানচর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে, ভাসানচরকে সন্দ্বীপের সাথে যুক্ত করার কোনো প্রয়াস সরকারের ঘোষণাকে উপেক্ষা করার সমান বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন।

এদিকে, ভাসানচরের মালিকানা নিয়ে এই বিরোধের বিরুদ্ধে হাতিয়া উপজেলা এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে এবং ঢাকা পর্যন্ত আন্দোলন সম্প্রসারিত হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। স্থানীয় জনগণ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, তারা এই আন্দোলনকে শক্তভাবে অব্যাহত রাখবেন যতক্ষণ না তাদের দাবির পূর্ণাঙ্গ প্রতিকার হয়।