
গোয়ালন্দে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে সমাবেশ

প্রকাশ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫০

সারাদেশে তিন মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে কাটাখালি বাজারে ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ হয়। কৃষকদের সংগঠিত করে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক সোলেমান হোসেন। সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আইয়ুবুর রহমান আইয়ুব। এছাড়া জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব এ.কে.এম সিরাজুল আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আতিকুল আলম আতিক, গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আবু বক্কার সিদ্দিক, উপজেলা কৃষকদল নেতা শাজ্জাদুল আলম শামসু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী খান, ছোটভাকলা ইউনিয়ন কৃষক দলের নেতা বিল্লাল হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম নুরু।

সভায় বক্তারা কৃষকদের ন্যায্য অধিকার, উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য এবং কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। তারা বলেন, দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি কৃষি, অথচ কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় তাদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা।
জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব এ.কে.এম সিরাজুল আলম চৌধুরী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের জন্য কল্যাণমূলক নীতি গ্রহণ করবে এবং তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষকদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি। উৎপাদন খরচ কমানো, কৃষি ঋণ সহজলভ্য করা এবং আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার প্রসার ঘটানোর দাবি জানান তিনি। কৃষকদের সংগঠিত হয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ের আহ্বানও জানান বক্তারা।
কৃষক নেতারা জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে এ ধরনের সমাবেশের মাধ্যমে কৃষকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এসব দাবি তুলে ধরা হবে, যাতে সরকার কৃষকদের কল্যাণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

সমাবেশে অংশ নেওয়া কৃষকরা জানান, সারের দাম বাড়ছে, কিন্তু ফসলের দাম কম থাকায় তারা লোকসানের মুখে পড়ছেন। অনেক কৃষক ঋণের বোঝা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার যদি কৃষকদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করে, তাহলে ভবিষ্যতে কৃষিখাত চরম সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে হলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

