প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫২
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকায় গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে অপহরণের শিকার হন ১৯ জন বনকর্মী। তাদের অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। অপহৃতদের মধ্যে বন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (২২), সৈয়দ (৫০), রফিক, আইয়ুব খান (১৮), আইয়ুব আলী (৫০), আনসার উল্ল্যাহ (১৮), আয়াত উল্ল্যাহ (২২), সামছু (৪৫), ইসলাম (২১), সামছু (৪০), ইসমাইল (৩৫), মোহাম্মদ হাসিম (৪০), নূর মোহাম্মদ (২১), সৈয়দ আমিন (৩০), সফি উল্ল্যাহ (৩০), আইয়ুব (৫০) ও মোহাম্মদ আমিন (১৮) রয়েছেন। এছাড়া দুজনের নাম জানা যায়নি।
অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মুক্তিপণের দাবি জানিয়ে হুমকি দিয়েছে। তারা বলেছে, যদি টাকা না পাওয়া যায়, তবে অপহৃতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।
অপহরণের ঘটনা ঘটে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া পাহাড়ে। সেখানে বন বিভাগের শ্রমিকরা গাছের চারা রোপণ করছিলেন। ঠিক সেই সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাদের জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ, র্যাব, বন বিভাগ এবং স্থানীয় জনগণ পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে।
বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, “বন বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা অপহৃত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।” অপহৃত সাইফুল ইসলামের বাবা জুহুর আলম জানান, তার ছেলের মোবাইল ফোন থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। এক লাখ টাকা করে ১৯ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, তাদের দাবি করা টাকা না দিলে, তারা তার ছেলেকে মারধর ও নির্যাতন করবে এবং র্যাব-পুলিশ নিয়ে ঝামেলা করলে, অপহৃতদের মেরে লাশ করে পাঠাবে।
এছাড়া অপহৃত আনসার উল্লাহ ও আয়াত উল্লাহর মা খতিজা বেগমও একই রকমের হুমকি পাওয়ার কথা জানান। হ্নীলা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, “পাহাড়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা একের পর এক অপহরণ ঘটাচ্ছে এবং মুক্তিপণ আদায় করে তাদের ছেড়ে দিচ্ছে। না হলে, অপহৃতদের নানা ধরনের নির্যাতন করা হয়।”
এদিকে, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, “অপহৃতদের উদ্ধার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।”