প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১২:৩৯
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে পারিবারিক কলহের জেরে মিতু আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরকাদিম পৌরাসভার পূর্বপাড়া এলাকায় এই ঘটনার পর ভোরে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় এসে স্বামী সুমন মিয়া আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, সুমন পৌরসভার পূর্বপাড়ার শরিয়তউল্লা মিয়ার ছেলে এবং নিহত মিতু আক্তার নৈয়দিঘীর পাথর গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় আট মাস আগে সুমনের সাথে মিতুর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তার আগেও মিতুর একটি বিয়ে ছিল, যেখানে তার তিন সন্তান রয়েছে। সুমনেরও এটি দ্বিতীয় বিবাহ। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ও ঝগড়া লেগেই ছিল। মিতু কিছুদিন আগে ঝগড়া করে তার বাবার বাড়িতে চলে যান, কিন্তু সেখান থেকে স্বামীর বন্ধুরা তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
ঘটনার দিন রাত সুমন এবং তার বন্ধুরা মদ্যপান করেন। পরে সুমন তার স্ত্রী মিতুকে ধারালো বটি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ও গলায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেন। পরে ভোরে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা চলছে এবং তিনি এখন আইনগত প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, নিহত মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং হত্যার কারণ ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এই ঘটনা পারিবারিক কলহ থেকে সংঘটিত হওয়ায় স্থানীয়রা শোকাহত। নারী নির্যাতন ও পারিবারিক হিংসার বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনাগুলোতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি তুলেছেন অনেকে। অপরদিকে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড রোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাও বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মিরকাদিমসহ সারা দেশে পারিবারিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছে।