
কালকিনিতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ক্লাস বর্জন

জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৫২
শেয়ার করুনঃ

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুরের আন্ডারচর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নারি কেলেঙ্কারি এবং বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাদের অপসারণের দাবিতে স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল, ক্লাস বর্জন এবং সমাবেশ করেছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিদ্যালয় চত্বরে এই প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবি, শিক্ষক কর্তৃক নারীদের সাথে অশোভন আচরণ এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানোর কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক নেই। এমনকি শিক্ষার্থীদের ক্লাস কার্যক্রমও প্রভাবিত হয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও ক্লাস বর্জনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান গেটে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। তারা বলেন, "আমরা আর এই প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে দেখতে চাই না। তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।" শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

প্রতিবাদকারীদের মতে, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নিয়মিতভাবে শিক্ষার মান কমিয়ে দিচ্ছেন এবং বিদ্যালয়ে তার প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তারা জানান, গত কয়েক মাসে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নারীদের সাথে অশোভন আচরণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ না করা সহ নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি ঘটানো হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং শীঘ্রই একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন, “আমরা অভিযোগগুলো গুরুত্বের সাথে দেখছি এবং পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি হলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এদিকে, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আশাবাদী। তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানান যতক্ষণ না তাদের দাবি পূরণ হয় এবং বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে।


সর্বশেষ সংবাদ
