প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২:৪৪
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত সরকারের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ১২দিনপর পুরনো টেন্ডারের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে ধারণা করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। অন্য দিকে বেশি লাভের আসায় পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছে বন্দরের আমদানিকারক।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই দুটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। দুটি ট্রাকে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে ভারত সরকার গেলো ৮ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় হিলি বন্দরের স্থানীয় বাজার থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেছে। হিলি বাজারে দেশীয় মুড়ি কাটা পেঁয়াজ ও পাতা পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বন্দরে পাইকারি পেঁয়াজ ক্রেতা রজিত আলী বলেন, অনেক দিন পরে হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি খবর শুনে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। দেখলাম দুই ট্রাক পেঁয়াজ আসছে। কিন্তু পেঁয়াজ এর অবস্থা ভালো নয়। অনেক পেঁয়াজে গাছ গজিয়েছে। তারপরও ১০০ টাকার বেশি কেজি চাচ্ছে। এতো টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনলে লোকসন গুনতে হবে। তাই পেঁয়াজ না কিনেই ফিরে যাচ্ছি।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ বলেন, বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। আমি দেশীয় মুড়ি কাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা বিক্রি করছি। দীর্ঘ ১২ দিন পর আজ হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে শুনলাম। আগামীকাল হয়তো সেগুলো বাজারে আসলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান,ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে গেলো ৮ই ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় ফলে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিলো। তবে ৭ তারিখের আগে খোলা এলসির পেঁয়াজ রপ্তানিতে সম্মতি প্রকাশ করায় আজ আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আগামীকাল আরো পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ এর নিকট ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে জানতে গেলে তিনি মিডিয়া কর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।