প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২৩, ৪:১২
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে নিহত সুলতানা জেসমিনের ছেলে সৈকত ও ভগ্নীপতি আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বলেছে র্যাবের একটি তদন্ত দল। সোমবার (৩ এপ্রিল) নওগাঁ সার্কিট হাউজের একটি কক্ষে বেলা পৌনে ১টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার কথা হয় দুই পক্ষের। পরিবারের সাথে কথা শেষ করে র্যাবের ওই দল অনকেটাই কৌশলে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে দ্রুত সার্কিট হাউস থেকে বের হয়ে যান।
র্যাব চলে যাওয়ার পর জেসমিনের ভগ্নিপতি আমিনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গত ২২ মার্চ জেসমিনকে গ্রেফতারের পর নওগাঁ হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় ও তার মৃত্যু পর্যন্ত যেহেতু আমি ও তার ছেলে সৈকত ছিলাম সেহেতু এই সময়ের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তাই বর্ণনা আকারে আমাদের নিকট জানতে চেয়েছে তারা। এবং র্যাবের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে এই মৃত্যুর বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করা হচ্ছে। যদি র্যাব দায়ী হয়ে থাকেন তাহলে এই টিম সেই রিপোর্টটি উপরমহলে জানাবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কি চাওয়া হয়েছে র্যাবের কাছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
নিহত সুলতানা জেসমিনের ছেলে সৈকত বলেন, তার মায়ের মৃত্যুতে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তার পোড়াশোনা। কিন্তু মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তা ঠিকঠাক করে যেতে চান তিনি। তবে মায়ের মৃত্যু বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়ায় দেখান নি সৈকত। তবে এবিষয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে (আজ ) সোমবার দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান কফির উদ্দিন জানান, র্যাব হেফাজতে কোনো আঘাতে নয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য সুলতানা জেসমিন (৪৫) নওগাঁ সদর উপজেলার চ-ীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে। আটকের চার ঘণ্টা পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তার মৃত্যু হয়।