প্রকাশ: ৪ মে ২০২২, ০:৪
এপার বাংলাদেশ অপর পাশে ভারত। মাঝখানে সীমানা কাঁটা তারের বেড়া।ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং ভারতে থাকা স্বজনদের এক নজর দেখা ও কুশল বিনিময় করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সীমান্ত দেখতে আসা উৎসক দশনার্থীরা দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ঈদের দিন আজ দ্বিতীয় দিনে জড়ো হয়েছিল কয়েক শতাধিক মানুষ। এখানে সরাসরি কথা না বলতে পারলেও দুর থেকে স্বজনদের দেখে শান্তি খুঁজে নেন স্বজনরা।
মঙ্গলবার (৩ মে) ঈদের দিন থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত হিলি সীমান্তে শুন্যরেখায় দর্শনার্থী ও স্বজনদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এ এক অন্যরকম দৃশ্য। জড়ো হওয়া দর্শনাথীরা সীমানা ঘেঁষে দূরপাল্লার রেল লাইনে সেলফি তুলছেন। কেউ দুর থেকে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলছেন। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও শামিল হয়েছিলেন এই ভিড়ে।
হিলি স্থলবন্দরের দু-দেশের সীমান্ত শহরে নামেই হচ্ছে হিলি। দু-দেশের হিলি শহরের মাঝ দিয়ে রয়েছে রেললাইন। রেললাইনের এপার বাংলাহিলি আর ওপার ভারত হিলি। বাংলাদেশ ও ভারতের নিকটবর্তী শহর হিলি হওয়ায় এই শহর দেখতে ছুটে চলে আসে অনেকেই। ঈদের দিন বিকেল থেকেই হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকায় ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। শুধু ঈদের দিন নয় শুক্রবার ছুটির দিনেও প্রতিদিনেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীবাহীবাস,প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেল, অটোরিক্সা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে করে তারা এখানে আসেন। অপর দিকে ভারতের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসেন ভারতের জিরোপয়েন্টে।
ভারতে থাকা স্বজনদের সাথে কথা বলতে ও এক নজর দেখতে আসা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী শহরের আহসান হাবীব নামের একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার বাবার সাত ভাই। এরমধ্যে বাবা বাংলাদেশে থাকেন, বাকি চাচারা ভারতে। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি। ফেসবুক মেসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়। আজকে সরাসরি কথা বলতে না পারলেও দুর থেকে এক নজর দেখে নিজেকে খুব খুশি লাগছে।
দিনাজপুর থেকে আসা মরিয়ম বিবি বলেন,পরিবারের সবাই ভারতে থাকে। চাচাকে দেখতে এসেছি। কাছে গিয়ে কথা বলতে পারলাম না দুর থেকে দেখেও ভালো লাগলো।
দশনার্থীরা আরও বলেন, ছেলে মেয়েদের বিনোদনের উদ্দেশ্যেই হিলি সীমান্ত এলাকা দেখতে এসেছি। এতদিন শুনেই এসেছি আজ কাছ থেকে অনেক কাছাকাছি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। সেখানে ঘুরে বেড়িয়েছি ও ছবি তুলেছি, সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগলো এখানে এসে।
বিজিবির এক সদস্য বলেন, সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছি। দুই দেশের লোকজন ঈদের দিনে দুপাশে ভিড় করে। তারা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। কিন্তু নিরপাত্তার কারণে কাছে গিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ দেওয়া হয় না।