কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখা ইকবাল সন্দেহে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন ইকবালকে রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মাইক্রোবাসে করে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় পুলিশ। এরপর কুমিল্লা জেলা পুলিশের হাতে ইকবালকে তুলে দেয় কক্সবাজার পুলিশ।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু, তার বন্ধু তারেক রায়হান ও সাজ্জাদুর রহমান অনিক ইকবালকে ধরার কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়। মূলত এ তিন বন্ধু সমুদ্র সৈকতে কৌশলে ইকবালের পরিচয় নিশ্চিত হন। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত ইকবালকে অনুসরণ করেন তারা। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সহযোগিতা নেন।
মোবাইল ফোনে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু জানান, ৩ বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু সুগন্ধায় পরিচয় হয় ইকবাল নামে ছেলেটির সঙ্গে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফা গল্প করেই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি। পরে তার কথায় সন্দেহ হলে মূল ঘটনা জিজ্ঞেস করি। এরপর সে পুরো ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে। তারপর থেকে কিভাবে তাকে পুলিশে দেওয়া যায় সেই চিন্তা করতে থাকি।
মিশু আরও জানান, রাত ৮টার দিকে আমরা নিশ্চিত হই ইকবালই কুমিল্লার ঘটনার মূল অভিযুক্ত। তারপর পুলিশকে বিষয়টি জানাই।