
গোয়ালন্দে ওজন স্কেলের সড়কে খানাখন্দ, চালকদের ভোগান্তি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:২৩

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সামনে রোড ভেহিক্যাল ডিজিটাল ওজন স্কেল স্থাপন করেছে বিআইডাব্লিউটিসি। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবস্থিত, সেই মহাসড়কে তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত আর খানাখন্দ। কার্পেটিং উঠে পাথর আর খোয়া সরে রড বের হয়ে আছে বেশ কিছু যায়গায়। আর এতে সৃষ্টি হচ্ছে বাড়তি ভোগান্তি। দীর্ঘদিন ধর খানাখন্দ সড়কটি মেরামতের তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষের।
জানা যায়, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ডিজিটাল ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করে। এখানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাক সহ অন্যান্য জেলার ট্রাক ফেরিতে ওঠার আগে এখানে ওজন পরিমাপ করে, ওজন পরিমাপের পর স্লিপ নিয়ে তবেই ফেরিতে ওঠার সুযোগ পায় ট্রাকগুলো। ট্রাকচালকেরা জানান, স্কেলে উঠা নামার অংশের সড়কের বেশ কিছু এলাকায় কার্পেটিং নেই, সরে গেছে পাথর ও খোয়া ফলে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমন সব গর্তের জন্য ওজন করতে আশা ট্রাক গুলোকে ভোগান্তিতে পরতে হয়। অনেক সময় এই সব গর্তে ট্রাকের চাকা আটকে গিয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওজন ওঠা নামার জায়গাগুলোতে বড় বড় গর্তে পাথর আর খোয়া সরে রড বের হয়ে আসছে। রড এমনভাবে বের হয়েছে, অসাবধানবশত গাড়ির চাকা সেখানে পড়লে পাংচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ি মহাসড়ক ধরে ওজন স্কেলে ওঠার আগে অনেক দূর থেকে গাড়ির গতি কমিয়ে আসতে হয়। গতি না কমালে যেকোনো মুহূর্তে গর্তে চাকা পড়ে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে।
ফরিদপুর থেকে আসা ট্রাক চালক রুবেল শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়ক ব্যবহার করে আমার যাওয়া আসা হচ্ছে। তবে সমস্যাটা বেধেছে ওজন স্কেলে ওঠা নামার আগে পাথর ও খোয়া ভেঙে গর্ত তৈরি হওয়ার জন্য। গর্তগুলোর এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে কোন রকম এদিক সেদিক হলেই রড চাকায় ঢুকে যাবে। আর এমনটি হলেই ট্রাক আটকে যাবে। তাই খুব সাবধানের সাথে ওজন স্কেলে ট্রাক তুলতে হয়।

ওজন স্কেলের কাউন্টারে কর্তব্যরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. সোহেল রানা বলেন, প্রায় এক বছর ধরে স্কেলের দুই পাশের অন্তত গর্ত ও খানাখন্দ হয়েছে। স্কেলটি সচল রাখতে বেশ কয়েকবার ইট ফেলে প্রাথমিক ভাবে সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু কিছু দিন না যেতেই সব আগের অবস্থায় চলে আসছে। স্কেলটি বসানোর পর থেকে এই জায়গায় তেমন কাজ করা হয়নি। এই সব গর্তের জন্য মাঝে মধ্যেই ট্রাকগুলো আটকে পরে, মাঝে মাঝে সৃষ্টি হয় যানজটের। আমরা বিষয়টি উধ্বর্তনত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন,ওজন স্কেলের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই এই সমস্যা সমাধান করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ
