প্রকাশ: ৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৫৭
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তৎপরতায় বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ২১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে টহলরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা দুর্জয়’ সেন্টমার্টিন্স থেকে ৪৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সমুদ্রে একটি সন্দেহজনক মাছ ধরার নৌকার গতিবিধি লক্ষ্য করে।
তাৎক্ষণিকভাবে নৌবাহিনী জাহাজটি ‘এফভি কুলসুমা’ নামের ওই নৌকার গতিপথ রোধ করে। পরে তল্লাশি চালিয়ে নৌকাটিতে থাকা ২১৪ জন যাত্রীকে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে রয়েছে ১১৮ জন পুরুষ, ৬৮ জন নারী এবং ২৮ জন শিশু। তারা সকলেই মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
নৌবাহিনী জানায়, ওই নৌকাটি সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন শাপলাপুর এলাকা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, তারা দালালদের সহায়তায় মালয়েশিয়ায় অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল।
উদ্ধারকৃতদের নিয়ে নৌবাহিনী ‘এফভি কুলসুমা’সহ সেন্টমার্টিন্সে ফেরে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, নৌকাটিতে কোনো ধরনের জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম, পর্যাপ্ত খাদ্য বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ফলে যাত্রার মধ্যেই বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা ছিল।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপে সেই বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
দেশের জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, চোরাচালান ও মানবপাচার রোধে নৌবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযানও ছিল তারই অংশ।