প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২১, ০:৪১
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ঈদ পরবর্তী কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বরিশালে দোকানপাট শপিংমল ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও দ্বিতীয় দিনে সড়কে মানুষ ও যানবাহন চলাচল অনেকটা বেড়েছে। কড়াকড়ির মধ্যেও বরিশাল নগরীতে ব্যাক্তিগত গাড়ি ও রিক্সা চলাচল বেড়েছে।
যদিও জনচলাচল নিয়ন্ত্রণে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসানোর পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও কাঁচাবাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। তবে ফার্মেসি, খাবার ও মুদি দোকান সকাল থেকে খোলা থাকলেও অন্যান্য দোকান বন্ধ ছিল।
এছাড়া অলিগলিতেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহনের চাপও বেড়েছে।
নগরীর সদর রোড, হাসপাতাল রোড, রুপাতলী, কাউনিয়া, নতুনবাজার এলাকায় রিকশা চলাচল বেড়েছে। নতুন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেও মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
তবে বিধি-নিষেধ মানাতে নগরীর পথে পথে আগের মতোই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা রয়েছে। পুলিশের তল্লাাশি পেরিয়েই বাইরে বের হচ্ছে অনেকে।
শনিবার বৃষ্টি না থাকায় মানুষের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার কথা বলেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নগরীর নতুনবাজারে আসা ক্রেতা মনির হোসেন বলেন, দুই দিন বৃষ্টির জন্য বাজারে আসতে না পারায় আজ এসেছেন।
কয়েকজন রিকশাচালক জানান, পেটের তাগিদে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছেন। তবে কঠোর লকডাউনের কারণে তেমন একটা যাত্রী নেই। করিম নামে এক রিক্সা চালক বলেন, ৫ জনের সংসার, রিক্সা না চালালে খামু কি?
সরেজমিনে নগরীর রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার সকল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। পুলিশের চেকপোষ্টে সড়কে চলাচলকৃত গাড়িগুলো চেক করা হচ্ছে। অপ্রয়োজনে বের হওয়ায় অনেককে মামলাও দেয়া হয়েছে।
এদিকে পুলিশের চেক পোস্টে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া চেকপোস্ট অতিক্রম করতে দেয়া হচ্ছে না।
তবে নানা অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ। অবশ্য সড়কে চলাচলকৃত ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই ছিল বেশি।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় গত ২৩ জুলাইন থেকে আগামী ৫ আগস্ট কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।