প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২১, ১৬:৩২
বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ মাদকাসক্তি। দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ আশংকাজনকভাবে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য মাদকাসক্ত যুব সমাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাব যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় করে আসছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পায়। তদ্প্রেক্ষিতে ১২/০৬/২০২১ইং তারিখ গভীর রাতে র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্প গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় ইয়াবাসহ ফরিদপুর জেলার সদরদী গ্রাম এলাকায় বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে।
এ প্রেক্ষিতে র্যাব-৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল অত্র ক্যাম্পের স্কোয়াড অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ খোরশেদ আলম এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১২/০৬/২০২১ ইং তারিখ গভীর রাতে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন সদরদী গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী আসামী ০১। মোঃ সিরাজুল ইসলাম(৩৮), পিতা-মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মোল্লা, সাং-রামনগর, ০২। মোঃ কামাল ফকির(৫২), পিতা-মৃত ইয়াদ আলী ফকির, সাং-লক্ষনদিয়া, উভয় থানা-রাজবাড়ী সদর, জেলা-রাজবাড়ীদ্বয়কে আটক করে ।
এ সময় আটককৃত আসামীদ্বয়ের হেফাজতে থাকা ৩৬০ (তিনশত ষাট) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০৭ টি সীমকার্ডসহ ০৪টি মোবাইল ফোন এবং ০১ টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য আলামত সহ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।