প্রকাশ: ২৪ মে ২০২১, ২০:৯
'আমি অসহায় মহিলা, আমার বিরুদ্ধে কলাপড়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসাররা অন্যায়ভাবে ৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমি সর্বশান্ত হয়ে পরেছি। ছেলে সন্তান নিয়ে বর্তমানে না খায়ে দিন কাটাইতেছি। এর সুষ্ঠ বিচার এবং হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি'।
সোমবার দুপুরে কলাপাড়ার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রুনা বেগম (৪০) নামের এক নারী।
লিখিত বক্তব্যে রুনা বেগম বলেন, ২০১৮ সালে স্বামী আমির হোসেন এর নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ ২০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ রুহুল আমিন চাকুরী রক্ষার স্বার্থে আসামী ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।
এমনকি মোঃ রুহুল আমিন এক লক্ষ টাকা নিয়া মাদক ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়। প্রতি মাসে দুটি করে আসামী ধরিয়ে দিতে বলে। এতে রাজী না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক স্বামী আমির হোসেন এবং আমার নাবালক সন্তান রায়হানের নামে ৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২২ মে শনিবার সকালে টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী গ্রামের বাসিন্দা রুনার বসতঘরে মো.মোস্তাফিজুর রহমান বিভাগীয় স্ট্যাফ উপ-পরিদর্শক, মো.রুহুল আমিন সহকারী উপ-পরিদর্শক, মো.জহিরুল ইসলাম সিপাই, সঞ্চয় কুমার সাহা, মো.আবুল হাসানসহ কলাপাড়ার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা কমর্চারী মিলে একজোট হয়ে বাড়িতে গিয়ে আমার স্বামীকে আটক করে।
আমি প্রতিবাদ করেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিতে থাকে। আমি ও আমার ছেলে উদ্ধার করিতে গেলে আমাকে ও আমার ছেলেকেও কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া এবং টানা হেচড়া করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাপা ফুলা জখম করে।
লিখিত বক্তবে তিনি আরো বলেন, মারধরের এক পর্যায় রুহুল আমিন ও সঞ্জয় সাহা আমার বসত ঘরে প্রবেশ করে স্টীলের ট্রাংকের মধ্যে থাকা পার্স ব্যাগটি বাহির করে নিয়ে আসে। এর মধ্যে নগদ ১৩ হাজার টাকা এবং উত্তরা ব্যাংক লিঃ এর চেক ও জমা বই তারা নিয়ে যায়।
এভাবে দিনের পর দিন আমাকে হয়রানি করছে কলাপাড়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আমি এর সুষ্ঠ বিচার এবং হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মোসাঃ রুনা বেগমের সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিক্তিহীন বলে দাবী করেন কলাপাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন।