সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটক রেখে পুলিশের কাছে হস্তন্তর ও তার বিরুদ্ধে মামলা করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার(১৮ মে) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এমনি দাবি জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন,করোনাকালীন সময়ে সরকারের যে দুর্নীতি,স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের যে দুর্নীতি সেটি জনগনের সামনে তুলে ধরাটাই ছিলো রোজিনা ইসলাম অপরাধ। যার কারনে আজ তার এই অবস্থা।
আমরা কখনো ভাবতে পাড়িনি একজন সংবাদকর্মীর সাথে এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ হবে সচিবালয়ের কার্যালয়ে। আজ শুধু রোজিনা নয়,তার মতো অনেক সাংবাদিক সত্য লিখতে ভয় পায়। এই সকল কর্মকান্ডের জন্য ধিক্কার জানাই এই সরকারকে। অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন,আমার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি দেশে মানুষের কোন অধিকার নেই। না আছে সাধারণ নাগরিকদের অধিকার,না আছে রাজনৈতিকবীদদের অধিকার কিনবা না আছে সাংবাদিকদের কোন অধিকার। আর এই অবরুদ্ধকর অবস্থাকেই তারা(আ.লীগ)গণতন্ত্র বলে। তারা যানেনা গণতন্ত্র কাকে বলে।
গণতন্ত্রের মূল বিষয়টি হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আর এই মত প্রকাশের মূল মেরুদণ্ড হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। কিন্তু আজকে এই মিডিয়ার কর্মীদেরকে যদি এভাবে হেনেস্তা করা হয় তাহলে কি করে দেশে গণতন্ত্র থাকলো?
ফখরুল বলেন, আজকে সাংবাদিককে হেনেস্তা করা এই বিষয়টি নতুন নয়। এর আগের অনেক সংবাদকর্মী হেনেস্তা হয়েছে। দেশে ছেড়ে পর্যন্ত চলে যেতে হয়েছে,কারাগারে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে।
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান,সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দফতর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সদর থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন সহ বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১