প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২১, ২০:৭
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কুমিল্লায় মেধাবী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা বৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় পাখীদের জন্য তৈরী করা আবাসন বিতরণ করা হয়েছে। মানবতার ফেরিওয়ালা ও প্রকৃতিপ্রেমী ডা. ফেরদৌস খন্দকারের উদ্যোগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেবীদ্বার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক শিশু-কিশোর সমাবেশে জ্যামিতি বক্সসহ শিক্ষার উপকরণ,
চকলেট ও মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও বিতরণ এবং বিদ্যালয়ের আঙ্গীনায়, বাগানে, বৃক্ষের ডালে মাটি ও বাশের তৈরী পাখীদের নিরাপদ আবাসন স্থাপনের জন্য ২ শত প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধানদের মধ্যে ওই পাখীর বাসা বিতরণ করা হয়।
দেবীদ্বার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রাহেলা আক্তার মজুমদার’র সভাপতিত্বে এবং ডা. ফেরদৌস খন্দকারের প্রতিনিধি কাউছার হায়দার’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগ’র উপদেষ্টা ও পৌর আ’লীগ সভাপতি হাজী আবুল কাসেম চেয়ারম্যান।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা ইসলাম, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, তপন পোদ্দার, বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক গাজিউল হক চৌধূরী, আইটি বিশেষজ্ঞ মো. নাহিদ হাসান, আয়োজক মো. সাইফুল ইসলাম বাবু, মো. আনোয়ার সাদাত, মো. ফয়েজ উদ্দিন মোল্লা, মোহাম্মদ উল্লাহ ভূঁইয়া, গাজী আসিফ, রোমন খান, মহিউদ্দিন বাহারুল প্রমূখ।
আলোচকরা মানবতার ফেরিওয়ালা প্রকৃতিপ্রেমী ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনাকালে তিনি সূদূর আমেরিকা থেকে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া ঔষধ, খাদ্য সামগ্রী, ফলফলাদী সরবরাহ সহ যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তার পিতা-মাতার নামে তৈরী ফাউন্ডেশন’র মাধ্যমে অসহায় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল, সাংবাদিক, পুলিশ, ডাক্তার, নার্স, প্রশাসনের লোকজন সহ করোনা যোদ্ধাদের মাঝে পিপি, মাক্স, হ্যান্ড সেনিটাইজার, গ্লাপস, অক্সিজেন মেসিন সহ বিপুল পরিমান নানা উপকরণ বিতরণ করেছেন। এখনো তা অব্যাহত রেখেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়, বিশেষ করে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় বাড়ির আঙ্গীনায় থাকা ঝোপ-ঝার, জঙ্গল ও বৃক্ষ তরুলতা কেটে ফেলায় আবাসন সংকটে পড়ে যায় পাখীরা। তাইতো পাখীদের আবাসন সংকট নিরসনে তার এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
উল্লেখ্য, দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘বাকসার ‘ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে অসহায় দরিদ্র, মেধাবী, প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা বৃত্তি, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ, দায়গ্রস্ত পিতার কণ্যাদান, দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ পার্বনে ঈদ সামগ্রী বিতরনসহ নানা সামাজিককর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন।