কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ২৪ জন আহত হয়েছে। গুরুত্বর আহত ৫ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ছাট গোপালপুর গ্রামে প্রায় ১২ বিঘা জমি নিয়ে মৃত ঘেতু মন্ডলের ছেলেদের সাথে মৃত কেতু মন্ডলের ছেলেদের দ্ব›দ্ব চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ওই জমির দখল নিতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়।
আহত চাঁন মিয়া জানান, আমাদের দলিল আছে। জমির মালিক আমরা। ওদের কাগজপত্র নাই, শুধুমাত্র দাখিলা বলে তাঁরা জমির মালিকানা দাবি করছে। ওরা সন্ত্রাসী ভাড়া করে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় নারী-পুরুষ সহ ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন জামাল উদ্দিন (৬৫), আনার আলী (৬২), তারা মিয়া (৫৫), নজরুল (২২), চান মিয়া (৬০), রতœা (৩৫), নবিজা (৫৫), সাহেরা (৬০), সজিরন (৬৫), রোজিনা (২৮), হবিবর (২৬), আলম হোসেন (২৮), এবং নুর ইসলাম (২২)।
অপরদিকে আহত আহম্মদ আলী জানান, প্রায় সতের বছর যাবত মামলা চলার পর আমরা রায় পেয়েছি। তারা সেই রায় মানে না। ঘটনার দিন আমরা ওই জমিতে বাড়ি করতে ও পাট বুনতে গেলে তাঁরা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের ১১ জন আহত হয়। আহতরা হলেন আবিজল (৭০), বদিউজ্জামান (৫০), ওমর আলী (৩৫), সাইফুর রহমান (৩০), আহম্মদ আলী (৩২), বাবলু(২৮), শাহিন আলম (২৬), রেজাউল (২৬), মঞ্জুরুল (২৫), আজাদুল (২৫), এবং স্বপন (১৫)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মৃত কেতু মন্ডলের ছেলে ময়েজ উদ্দিন ২০০৩ সালে ওই জমির মালিকানা দাবি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার রায় তার পক্ষে যায়। এরপর ঘেতু মন্ডলের ছেলেরা ২০০৯ সালে জমির মালিকানা তাদের দাবি করে অপর একটি মামলা দায়ের করলে আদালত ২০২০ সালে তাদের পক্ষে রায় প্রদান করে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুহাম্মদ আতিয়ার রহমান জানান, ময়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৪৬ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।