প্রকাশ: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৩
পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলাতে সারা দেশের ন্যায় মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে ২টি বুথে শুরু হয়েছে কোভিড ১৯টিকাদান কর্মসূচি।রোববার (৭ফেব্রুয়ারি)সকালের দিকে স্বাস্হ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচীর উদ্বোধনের পর খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে ২টি বুথে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
উদ্বোধনের পরেই প্রথম টিকা নিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.খায়রুল আলম। এরপর টিকা নিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজ ফারজানা আক্তার (ববি) ও মাটিরাঙ্গা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নকর্মী চন্দ্রিকা ত্রিপুরা প্রথম ধাপে টিকা নিয়েছেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দেব বলেন,কোন ধরণের দ্বিধা না করে সকলকে করোনার টিকা নেয়া উচিত। টিকা নেয়ার ফলে সকলে সুরক্ষিত থাকবেন। যারা টিকা নিতে আবেদন করেছেন পর্যায়ক্রমে সকলে টিকা পাবেন বলে জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজ ফারজানা আক্তার (ববি) জানান,এ উপজেলায় আমি দ্বিতীয় টিকা নিয়েছি। টিকা নেয়ার অনুভূতি জানার প্রশ্নে তিনি বলেন,আমি ভালই আছি কোন সমস্য হচ্ছে না। আমাদের সকলের এ টিকা নেয়া উচিত।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.খায়রুল আলম বলেন,মাটিরাঙ্গা উপজেলায় প্রথম কোভিড-১৯ টিকা নিয়েছি। সাধারণ টিকার মতোই অনুভূতি বোধ হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সুস্থই আছি। সকলকে এ টিকা প্রদানের জন্য আহবান জানাচ্ছি। এ টিকার বড় ধরনের কোন পাশ্ব প্রতিক্রয়া নাই।
তিনি আরো বলেন,প্রতিদিন ১শত জন করে ১ম ডোজ টিকা ১২দিন যাবত দেয়া হবে। ১ম ডোজ টিকা প্রদানের ৪ সাপ্তাহ পর একই ব্যাক্তি বাধ্যতামুলক দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। আজ উদ্বোধনেরকালে সর্বোচ্ছ ১শত পঞ্চাশ জনকে টিকা দেয়া হবে।
পরবর্তীতে ধাপে ধাপে টিকা দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমাদের প্রশিক্ষিত মেডিকেল টিম রয়েছে। টিকা প্রদানের পরে কারো কোন সমস্যা হলে তা দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত,,৩১শে জানুয়ারি প্রথম ধাপে খাগড়াছড়ি জেলায় ১২হাজার ডোজ টিকা পেয়েছে।