মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার টিলাভূমিতে বাণিজ্যিকভাবে আদালেবু চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তুলনামূলক কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় ছোট-বড় অনেক চাষি এ চাষকে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার নতুন পথ হিসেবে দেখছেন।
উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া আদালেবু চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। বর্তমানে জুড়ীর ২৫০ হেক্টর জমিতে আদালেবুর বাগান গড়ে উঠেছে। পাহাড়ি এলাকার অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগ-বালাইমুক্ত পরিবেশে এই লেবু সারা বছর ফলন দেয়।
জুড়ীর উৎপাদিত আদালেবু শুধুমাত্র সিলেট অঞ্চলে নয়, বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা জামাল উদ্দিন জানান, এই মৌসুমে তার নিজস্ব বাগানের আদালেবু বিক্রি করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করেছেন। প্রতি পিস লেবুর দাম ১৬-১৭ টাকা। ৮০টি লেবু মিলিয়ে এক পনেরো থেকে সতেরোশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রনি সিংহ বলেন, জুড়ীর আদালেবুর চাহিদা সিলেট অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। অফ-সিজনে দাম আরও বেড়ে যায়। দেশের বাইরেও, বিশেষ করে লন্ডনে এর বাজার তৈরি হয়েছে। আদালেবুর তীব্র সুগন্ধ, মিষ্টি স্বাদ ও রসাল গুণে এটি অনন্য।
কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল আলম খান জানান, উপজেলা জুড়ীতে ২৫০ হেক্টর জমিতে আদালেবু চাষ হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত। এতে রোগ-বালাই নেই এবং কৃষকরা ভালো মুনাফা পাচ্ছেন। সরকারি সহায়তা ও সঠিক বিপণন ব্যবস্থাপনা হলে জুড়ীর আদালেবু আন্তর্জাতিক বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে।