ডাসারে সুদ কারবারির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,উপজেলা প্রতিনিধি কালকিনি (মাদারীপুর)
প্রকাশিত: শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:০৩ অপরাহ্ন
ডাসারে সুদ কারবারির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

মাদারীপুরের ডাসারে মো. আজিজ হাওলাদার নামে এক সুদ কারবারির হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের ১০৭ নম্বর ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি পাওয়া যায়। নিহত মো. আজিজ হাওলাদার ধামুসা গ্রামের মৃত আবদুল রহিম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।  


স্থানীয়রা জানান, আজিজ হাওলাদার ডাসার কাঁঠালতলা বাজারে চায়ের দোকান চালাতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে সুদের ব্যবসাও করতেন। শুক্রবার রাতে চায়ের দোকান বন্ধ করার পর আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে তার স্ত্রী শাহিদা বেগম বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বামীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।  


নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা, সুদের টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই তাকে হত্যা করা হতে পারে। তার দোকান ও ব্যক্তিগত লেনদেন নিয়ে সম্প্রতি কিছু মানুষের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল বলে জানা গেছে। তবে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  


ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।  


এলাকাবাসী বলছে, সুদের ব্যবসার কারণে আজিজ হাওলাদারের সঙ্গে বিভিন্ন মানুষের লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। অনেকেই তার কাছে টাকা নিয়েছিল এবং সুদের চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পাওনা টাকা সংক্রান্ত কোনো বিরোধের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।  


নিহতের স্বজনরা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করেছেন। তারা বলছেন, আজিজ হাওলাদার কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতায় জড়িত ছিলেন না, শুধু সুদের ব্যবসার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।  


এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন হত্যাকাণ্ডের আগে আজিজ হাওলাদার কোনো হুমকি পেয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সুদের লেনদেন নিয়ে আগেও এলাকায় কিছু ঘটনা ঘটেছিল, তবে হত্যাকাণ্ড এবারই প্রথম।  


পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং হত্যার কারণ উদঘাটনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।