ঝালকাঠির রাজাপুরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এর সরকারি অফিসের অভ্যন্তরে রমরমা চলছে লাকড়ির ব্যবসা। স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, অফিসের কর্মচারী মো. লিটন দীর্ঘদিন ধরে এখানে গাছের গুঁড়ি কেটে লাকড়ি তৈরি করে তা বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজাপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের প্রবেশ গেট তালাবদ্ধ এবং অফিস কম্পাউন্ড লাকড়িতে ভরপুর। লিটন এখানে বড় বড় গাছ কিনে কেটে সেগুলো সাজিয়ে রাখেন এবং সেখান থেকেই তা বিক্রি করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, লিটন তার ব্যক্তিগত ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকারি অফিসকে লাকড়ির গোডাউন বানিয়ে ফেলেছেন।
এছাড়াও, অভিযোগ রয়েছে যে, এখানে মাঝে মাঝে মাদকদ্রব্যের আসর বসে এবং কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতও লক্ষ্য করা যায়। টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দায়িত্বশীলরা এখানে আসার সুযোগ না পেয়ে লিটন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করছেন।
লিটন বলেন, "এখানে ব্যবসা করা অন্যায় নয়, বরং কম বেতনের কারণে আমাকে এই পথ বেছে নিতে হয়েছে।" তবে তিনি আশ্বাস দেন যে, শিগগিরই তিনি এখান থেকে সমস্ত লাকড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিবেন।
বাংলাদেশ সরকারি টেলিফোন সংস্থা (টিএন্ডটি) ঝালকাঠি এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম খান বিষয়টি নিয়ে বলেন, "পহেলা নভেম্বরের মধ্যে লাকড়ি সরিয়ে জায়গা খালি করার জন্য লিটনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জায়গা পরিষ্কার করা হবে।"
স্থানীয় জনসাধারণ এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।