হিলিতে ক্ষতিকর পোকা দমনে আলোর ফাঁদ উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: বুধবার ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
হিলিতে ক্ষতিকর পোকা দমনে আলোর ফাঁদ উৎসব

দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে জমির ক্ষতিকর পোকা দমনে আলোর ফাঁদ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পৌর সভার ছোট ডাংগাপাড়ায় কৃষকদের নিয়ে এই আলোর ফাঁদ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।


আলোর ফাঁদ উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড.মমতাজ সুলতানা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আরজেনা বেগম, প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলনসহ অনেকে। 


হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আরজেনা বেগম জানান, এ ফাঁদ তৈরী পদ্ধতি কৃষকদেরও শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে। চার্জার লাইট দিয়ে তারা নিজেরাও তা করতে পারবেন। চাইলে তারা এই পদ্ধতিতে অন্যান্য কীটনাশক ঔষধ ছাড়া এই ফাঁদ ব্যবহার করেও ক্ষতিকর পোকা দমন করতে পারবেন।


হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, ফসলের ক্ষেতে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো আলোক ফাঁদ। ধান ক্ষেতে পোকার উপস্থিতি নিশ্চিত হতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। ধানক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের পোকা বিদ্যমান থাকে, কিন্তু পোকাগুলি উপকারী নাকি ক্ষতিকর সেটা জানার জন্য ব্যবহার করা হয় আলোক ফাঁদ। একইভাবে, ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি থাকলেই যে রাসায়নিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে না, সেই নিশ্চয়তার জন্যও আলোক ফাঁদ বহুল ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি। 


তিনি আরো জানান, সাধারণত ধান ফসলের জমিতে টিলারিং (কুশি) অবস্থা হতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।ফসলের জমিতে সন্ধ্যার সময় ফাঁদ হিসেবে অন্ধকারে বাতি জ্বালানো হয়। বাতি জ্বালালে পোকামাকড় সেদিকে আকৃষ্ট হয়। এরপর সেসব পোকা গিয়ে পড়ে বাতির নিচে রাখা গামলার ভেতরে।গামলায় পানির সাথে থাকে ডিটারজেন্ট বা সাবানের ফেনা। ওই ফেনায় গিয়ে বসলে বা পড়লে পোকামাকড় উঠতে পারে না। সেখান থেকেই ধানের জন্য ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করা হয়।