বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পূর্ববর্তী সব বিতর্কিত পাঠ্যবই বাতিল করা হয়েছে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা ২০১২ সালের সংশোধিত কারিকুলামের বই হাতে পাবে। প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্যও নতুন বইয়ের পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যেখানে তৃতীয় শ্রেণীর বইয়ে প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে প্রশ্ন বা অনুশীলনী সংযোজন করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, ২০২২ সাল থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বিতর্কিত নতুন কারিকুলাম চালুর জন্য, যা ধীরে ধীরে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। গত ৫ আগস্ট, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিতর্কিত কারিকুলাম বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়, যা জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে।
নতুন বইয়ের কারিকুলাম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এবং এনসিটিবি বিভিন্ন টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করছে। শনিবার, সরকারি ছুটির দিনেও অফিসে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা, কারণ তারা নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন।
এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর জানান, আগের কারিকুলামের বইয়ে প্রচুর ভুল ছিল, যা শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী ছিল না। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অতি দ্রুত বইয়ের সফট কপি প্রেসে পাঠানো সম্ভব হবে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রিয়াজুল হাসান বলেন, "আমরা নতুন বই ছাপানোর জন্য সময়ের চাপের মধ্যে রয়েছি, কিন্তু বইয়ের মান নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা সতর্ক।" তিনি সকল বিভাগের প্রধানদের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
এভাবে, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত পাঠ্যবই নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে, যা তাদের শিক্ষা জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।