টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনার চরাঞ্চলে চলতি বছরে ১ হাজার ৭'শ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৫৭০ মে. টন বাদাম উৎপাদন হয়েছে। এ বছর চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজার গুলোতে প্রতি মন বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়া খুশি বাদাম চাষিরা।
প্রতি বছর বন্যা পরবর্তী সময়ে যমুনার বুকে জেগে উঠা বালুচরে বাদামের চাষ করেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা। চলতি বছরের বন্যায় উপজেলার অর্জুনা, গাবসারা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যমুনার বুকে জেগে উঠা বালুচরে বাদাম চাষ করেন তারা। বাদাম মুখরোচক ও সুস্বাদু খাবার। বাদাম চাষ সহজ ও লাভজনক। তাছাড়া বাড়তি সার ও সেচের প্রয়োজন হয়না। হাট বাজার গুলোতে চরাঞ্চলের অন্যান্য ফসলের চেয়ে বাদামের চাহিদা ও দাম অনেক বেশি।
উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের বাদাম চাষিরা বলেন- আমরা প্রতি বছর বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যমুনা চরাঞ্চলে বাদামের চাষ করে থাকি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর বাদামের ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজার গুলোতে বাদামের চাহিদা ও দাম অনেক বেশি। এবছর বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১১ মন বাদাম হয়েছে। তারা আরও বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে আমাদেরকে উন্নত মানের বাদাম বীজ ও সার দিয়েছে।
হাটে আসা বাদামের মহাজনরা বলেন, এবছর বাদামের চাহিদা বেশি থাকার গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বাদাম কিনতে হচ্ছে আমাদের। এবছর হাট গুলোতে বাদামের আমদানি অনেক বেশি। বর্তমানে আমরা প্রতি মন বাদাম ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় আমাদের কিনতে হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের বালি মাটি বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বন্যা পরবর্তী সময়ে এখানকার কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যমুনার বুকে জেগে উঠা বালুচরে বাদাম চাষ করেন চরাঞ্চলের চাষিরা। বাজারে বাদামের ভালো দাম পাওয়ায় প্রতিবছর কৃষকদের মাঝে বাদাম চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবছর উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের ১ হাজার ৭'শ হেক্টর জমির বাদাম চাষ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৫৭০ মেঃ টন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।