দক্ষিণের ৬ জেলায় ৯০ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১১ই মে ২০২৩ ০৮:১৬ অপরাহ্ন
দক্ষিণের ৬ জেলায় ৯০ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানার সময় উপকূলের নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। তবে বিরূপ আবহাওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই দক্ষিণের ছয় জেলায়। ইতোমধ্যে বিভাগের ছয় জেলায় শতকরা ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর বিভাগের ৬ জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭৩ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯ হেক্টর জমিতে।


সূত্রমতে, আগামীকাল ১৩ অথবা ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সম্পর্কে আগেভাগেই সতর্ক ছিল বরিশাল কৃষি বিভাগ। বিরূপ আবহাওয়ায় ফসলের যাতে ক্ষতি না হয় সেলক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের দিয়ে কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছে। যার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভাগে ৬ জেলায় প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বরিশালে শতকার ৮৭ ভাগ, পিরোজপুরে ৯২ ভাগ, ঝালকাঠিতে ৮৫ ভাগ, পটুয়াখালীতে ৯১ ভাগ, বরগুনায় ৯৩ ভাগ ও ভোলায় ৮৯ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। 


গত দুদিন বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। গত কয়েকদিনের অব্যাহত তাপ প্রবাহে ধান কাটা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ায় কৃষকরা আগেভাগেই ধানা কেটে ঘরে তুলেছে। বরিশাল সদর উপজেলার কৃষক শুক্কুর মিয়া জানান, এবছর বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তবে সারের মূল্য বৃদ্ধিতে উৎপাদন ব্যায় বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানের ন্যায্য দাম প্রাপ্তি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। 


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শওকত ওসমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে উদ্ভুত সমস্যা মোকাবেলা এবং কৃষি ফসল রক্ষার জন্য আগেভাগেই মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত ৯০ ভাগ ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে আবাদকৃত ভূট্টা কর্তন শেষ হয়েছে। এছাড়া মাঠে সবজিসহ অন্যান্য যেসকল ফসল রয়েছে তা রক্ষার জন্য নিচু এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কৃষকদের বিনামূল্যে সার-বীজ ও প্রণোদনা দেওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।