অসময়ে তরমুজ চাষে ভালো ফলন পেয়ে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্রামের মৃত আঃ কাদের গাজীর পুত্র তরুণ সফল কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেন বামনডাঙ্গ বিলে মৎস্য ঘেরে মাছ ও ধান চাষের পাশাপাশি রিং এ তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজ গাছের জন্য ঘেরের ভিতরে পানির উপরে বাঁশ ও জাল দিয়ে করেছেন মাচা তৈরি।
জালের ফাক দিয়ে হলুদ, সবুজ ডরাকাটা বিভিন্ন প্রকারের তরমুজ ঝুলে পড়েছে দেখলেই যেনো মন জুড়িয়ে যায়। অসময়ে তরমুজের স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আগে দেখা যেতো নির্দিষ্ট একটি সময়ে তরমুজ চাষ হতো এখন কৃষি গবেষণার উন্নতি এবং নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের কারনে সারা বছর তরমুজ চাষাবাদ করা যায়। আমি ৬ বিঘা মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে সনাতন ও মালজিং পদ্ধতিতে গোল্ডেন ক্লাউন, বিগ বিট, রবি ও জাফরান এই ৪ প্রকারের তরমুজ চাষ করেছি।
আলহামদুলিল্লাহ দুই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হয়েছে। ৭শত পিস তরমুজ গাছে আমার সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, ইতিমধ্যে ২৭ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি, গাছে বর্তমানে যে ফলন আছে তাতে আশাকরছি সামনে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে।
তরমুজের পাশাপাশি আমি মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, কাঁচামরিচ, পল্লা, চিচিঙ্গা, শসা, লাউ, করলা সহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করেছি।
তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বিলে গরু ছাড়া থাকায় আমার প্রায় সাড়ে ৪শত পিচ তরমুজ গাছ গরুতে খেয়ে নষ্ট করে দিয়েছে তানা হলে আমি তরমুজ চাষে অধিক লাভবান হতে পারতাম।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।