আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও সঠিক পরিচর্যা করায় নাটোরের লালপুরে চলতি মৌসুমে কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে উৎপাদিত কুলের বাজারে চাহিদা ও কাঙ্খিত দাম না থাকায় হাঁসি নেই চাষীদের মুখে।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে,‘চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন (বাউ, থাই, আপেল কুল, কাশমেরী আপেল কুল, ও বলসুন্দরী) জাতের কুল চাষ হয়েছে। এই সকল জমি থেকে ৯শ মেক্টিকটন কুল উৎপাদনের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। গড় ৩০ টাকা কেজি দরে বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।’
কুল চাষী সোহেল রানাসহ স্থানীয়রা জানায়,‘জমিতে সঠিক পরিচর্যা করায় ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথমে বাজারে কুলের চাহিদা ও দাম ভালো থাকলেও বর্তমানে পাইকারী প্রতিমন বাউ কুল বিক্রয় হচ্ছে ৫শ থেকে ৮শ টাকা, কাশমেরী আপেল কুল বিক্রয় হচ্ছে প্রতিমন ১হাজার থেকে ১২শ ও বল সুন্দরী বিক্রয় হচ্ছে ১২শ থেকে ১৫শ টাকায়। এখন কুলের ভরা মৌসুম। প্রতিদিন শ্রমিক নিয়ে জমি থেকে কুল তুলে তা বিক্রয় করে শ্রমিকের মুজুরিই হয় না, জমি লিজের টাকা কোথায় থেকে দেব? আর কি ভাবে সংসার চলবে।’
কুল ব্যবসায়ীরা বলছেন,‘এবার মৌসুমের শুরুর দিকে কুলের দাম ভালো থাকলেও বর্তমানে অতিমাত্রায় শীত পড়ায় বাজারে কুলের চাহিদা কমে যাওয়ায় কুলের দাম পড়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে কুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তারা।’
উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানায়,‘কুল চাষ লাভজনক ফসল হিসেবে লালপুরে গত কয়েক বছর ধরে চাষ হয়ে আসছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে কুলের দাম কিছুটা কম থাকায় কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। তবে কাঙ্খিত দাম পেলে এখানকার কুল চাষীরা লাভবান হবেন পাশাপাশি আগামীতের এর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।