আলু উৎপাদনে দেশের বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাটের আলু চাষিরা শেষ পর্যায়ের পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আলু তোলার ভরা মৌসুম শুরু না হলেও আগাম জাতের আলুতে ইতোমধ্যে বাজার সয়লাব হয়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে আলুর গাছ ভালো রাখতে ও বাম্পার ফলন পাওয়ার আশায় জমিতে প্রতিষেধক হিসেবে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করছেন আলু চাষিরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০২১-২০২২ মৌসুমে জেলায় এবার ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আলুর চাষ হয়েছে ৪১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১২০ হেক্টর বেশি। এতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৯৩১ মেট্রিক টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো সম্ভব হয়ে থাকে। মাঠের চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ আলু ক্ষেত।
গত বছর আলুর ভালো দাম পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় এবারও অধিকহারে আলু চাষে ঝাপিয়ে পড়েন জেলার আলু চাষিরা। জেলায় এবার ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আলুর চাষ হয়েছে ৪১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১২০ হেক্টর বেশি। আলু লাগানোর পর মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকায় আগাম জাতের আলুতে এবার বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান, কালাই উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের আলুচাষি আব্দুস সামাদ।
তিনি এবার ১ একর ১৬ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের গ্যানোলা আলু চাষ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানান তিনি। প্রথম দিকে আলুর দাম আরও বেশি থাকলেও বর্তমানে বাজারে আগাম জাতের আলু প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। এক বিঘা জমির আলু বিক্রি করে লাভ থাকছে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে এবার আলু উৎপাদনে খরচ পড়েছে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকার মতো বলে জানান কৃষকরা। বাজারে বর্তমানে আগাম জাতের আলুতে ভরে গেছে। আগাম জাতের আলুর দাম ভালো পেয়ে কৃষকরা খুশি বলে জানালেন কোমরগ্রামের আলুচাষি নূরমোহাম্মদ।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম বাসস’কে জানান, এবার জয়পুরহাটে ৪১ হাজার ২শ ৩০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলু ক্ষেতে ছত্রাকনাশকের ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষেতে আলুর গাছ ভালো থাকলেও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে কৃষকরা লেটব্লাইট রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করছেন আলু ভালো রাখার জন্য। কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরাও এ ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এবার ২০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান, মো: শফিকুল ইসলাম।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।