প্রকাশ: ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৬
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত অব্যাহত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে ভারতের উপকূলীয় ওড়িশা ও সংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি ক্রমান্বয়ে আরও দুর্বল হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তবে নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে বাতাসের চাপের তারতম্য তৈরি হয়েছে। এর ফলে ঝোড়ো বা দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলেদের জন্য এটি জরুরি সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
রবিবারও একই ধারা অব্যাহত থাকবে। সেদিন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হলেও অন্যান্য বিভাগে কিছু কিছু স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ু ও নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া ও জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই উপকূলের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।