প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার হাজার হাজার খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষ। বয়স্ক ও শিশুরা বিশেষভাবে শীতের প্রকোপে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শীতের তীব্রতায় মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা অপ্রতুল এবং এনজিওগুলোর কার্যকর তৎপরতা নেই বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে সরকারি পক্ষ থেকে মাত্র ৯৭৭ পিচ কম্বল সরবরাহ করা হয়েছে। এতে ইউনিয়নপ্রতি ৮৮ পিচ এবং ওয়ার্ডপ্রতি মাত্র ১০ পিচ কম্বল বরাদ্দ পেয়েছে। এতে বিপুল চাহিদার তুলনায় এ সহায়তা যথেষ্ট অপ্রতুল বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রবিবার আরও ৬৫০ পিচ কম্বল এসেছে এবং সেগুলো বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, উপজেলার অর্ধ শতাধিক এনজিও লক্ষ-কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে কাজ করলেও শীতার্তদের জন্য তেমন কোনো সহায়তা পৌঁছায়নি। এনজিওগুলোর এই নির্লিপ্ততায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিকরা।
বাজারে শীতবস্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও সেগুলো কিনতে পারছেন না গরিব মানুষ। ফলে অগণিত মানুষকে বিভিন্ন স্থানে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এনজিওগুলোর তৎপরতার অভাব স্থানীয়দের আরও বিপাকে ফেলেছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও তীব্র শীত অনুভবের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বাতাসের গতি, কুয়াশার প্রকোপ এবং সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া। আশাশুনির মানুষ শীতের প্রকোপে খাটতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। বিশেষ করে মাছের ঘেরের কাজ, বোরো আবাদের প্রস্তুতি এবং কৃষিকাজে খেটে খাওয়া মানুষদের কষ্টের সীমা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।